মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: তিন মাসের শিশুর জন্য দুধ কিনতে বলায় মাদারীপুরের শিবচরে স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে শরীরের একাংশ পুড়িয়ে দিয়েছে এক পাষণ্ড স্বামী। অগ্নিদদ্ধ অবস্থায় ওই গৃহবধূকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধায় মাদারীপুর জেলার শিবচরে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশকান্দি গ্রামের দেলোয়ার শেখের মেয়ে খাদিজা আক্তারের সাথে একই উপজেলার দ্বিতীয়াখণ্ড ইউনিয়নের সেকান ফকিরের ছেলে নাসির ফকিরের সাথে বিয়ে হয়।
নাসির রাজমিস্ত্রির কাজ করে। গত প্রায় ৩ মাস আগে তাদের একটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। গত প্রায় এক মাস আগে মেয়ে হাবিবাকে নিয়ে নাসির ও খাদিজা শেখপুর বাজারসংলগ্ন একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। শেখপুর বাসা নেওয়ার পর থেকে নাসির ঠিকমতো কাজকর্ম করছিল না। এতে সংসারে অভাব-অনটন লেগে ছিল।
এ নিয়ে প্রায়ই নাসিরের সাথে খাদিজার ঝগড়া হতো। সোমবার সন্ধায় মেয়ে হাবিবার জন্য দুধ কিনতে বলায় আবারো নাসিরের সাথে খাদিজার ঝগড়া হয়। এতে নাসির রেগে খাদিজাকে মারধর করে বাইরে চলে যায়। খাদিজা মেয়ে হাবিবাকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১০টার দিক নাসির ঘরে ঢুকে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ঘুমন্ত খাদিজার শরীরে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
এতে খাদিজার শরীরের বুক, পিঠসহ একাংশ পুড়ে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আগুনে তার শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
অগ্নিদগ্ধ খাদিজা আক্তার বলেন, আমার স্বামী কাজকর্ম ঠিকমতো করত না। এতে সংসারে অভাব লেগে থাকত। বাচ্চার দুধ শেষ হওয়ায় সে দিন দুধ কিনতে বললে সে আমাকে মারধর করে চলে যায়। রাতে আমি যখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন ঘরে এসে আমার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মোকাদ্দেস বলেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই গৃহবধূকে এখানে আনা হলে আমরা চিকিৎসাসেবা প্রদান করছি। তার শরীরের বেশ কিছু অংশ পুড়ে গেছে।শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply